হাতীবান্ধায় সাংবাদিকের সাথে চিকিৎসকের খারাপ আচরন চিকিৎসা না দিয়ে সামিনা বেগমকে বের করে দিলেন এক চিকিৎসক
লাভলু শেখ।। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চিকিৎসাপত্র না দিয়ে অশোভন আচরন করে হাসপাতাল থেকে রোগীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ডা.মিনতিয়াজ কবিরের বিরুদ্ধে। ১৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকেলে বিচার দাবি করে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর পরিবার। ওই সময় সিনিয়র সাংবাদিক কাজী আলতাব এর সাথে আচরন খারাপ করে গালিগালাজ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে,সাংবাদিক কাজি আলতাব হোসেন ১৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার বেলা ১২টার দিকে তার অসুস্থ্য শ্বাশুরি সামিনা বেগমকে নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। নিয়ম অনুযায়ী টিকেট সংগ্রহ করে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালটির মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিনতিয়াজ কবিরের রুমে যান সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেন। ওই চিকিৎসক সাংবাদিক কাজী আলতাব কে দেখে রেগে গিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। রোগীর অবস্থা ভাল না বলে চিকিৎসা দিতে চিকিৎসককে অনুনয়- বিনয় করেন কাজি আলতাব হোসেন। কিন্তু এতেও মন গলেনি চিকিৎসকের। চিকিৎসা না দেয়ার কারন জানতে চাইলে চিকিৎসক ডা. মিনতিয়াজ কবির সাংবাদিককে বলেন, ” সাংবাদিকের কোন চিকিৎসা হবে না”। এ সময় সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেন ও তার রোগীর উপর উত্তেজিত হন চিকিৎসক। চিকিৎসকের উচ্চ চিৎকারে পাশের রোগীরা ওই রুমের সামনে ভিড় জমায় এবং রোগীর চিকিৎসা দিতে চিকিৎসককে অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকতা পেশাকে হেয় করে গালমন্দ করে রোগীর চিকিৎসা না দিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যান চিকিৎসক ডা. মিনতিয়াজ কবির। এসময় অন্য রোগীদেরও ওই চিকিৎসক চিকিৎসা দেননি বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনার বিচার ও চিকিৎসা না দেয়ার কারন জানতে চেয়ে সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেন বলেন, কোন সাংবাদিক বা তার পরিবারের কারো চিকিৎসা দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন ডা. মিনতিয়াজ কবির। এর কারন জানতে চাইলে আমাদেরকে দ্রুত রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। এসময় সাযবাদিকতা পেশাকে হেয় করে গালমন্দ করে গোটা সাংবাদিক সমাজ ও তাদের পরিবারকে হেয় করা হয়েছে। এর সুষ্ঠ বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম আহম্মেদ বলেন, একটু হট্টগোল হয়েছিল। যা তাৎক্ষণিক সমোঝোতা করা হয়েছে। তবুও যেহেতু অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।